বাংলা ব্যাকরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বর্ণ ও বর্ণমালা। তাই আজকের আর্টিকেলে আমরা বর্ণ কাকে বলে? বর্ণমালা (Alphabet) কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি? ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

Table of contents
বর্ণ কাকে বলে? বর্ণ কী?
বাক প্রতঙ্গজাত প্রত্যেকটি ধ্বনি এককের জন্য প্রত্যেক ভাষায়ই লেখার সময় একটি প্রতীক বা চিহ্ন ব্যবহৃত হয়। বাংলায় প্রতীক বা চিহ্নকে বর্ণ বলে। ধ্বনি নির্দেশক প্রতীককে বর্ণ বলে বা ধ্বনি নির্দেশক চিহ্নকে বলা হয় বর্ণ। যেমন – অ, আ, ক, খ, গ ইত্যাদি।
বর্ণ কত প্রকার ও কি কি?
বর্ণ দুই প্রকার। এগুলো হলো –
- স্বরবর্ণ
- ব্যঞ্জনবর্ণ
মাত্রার উপর ভিত্তি করে বর্ণ আবার তিন প্রকার। এগুলো হলো –
- মাত্রাহীন বর্ণ
- অর্ধমাত্রার বর্ণ
- পূর্ণমাত্রার বর্ণ
বর্ণের নাম | বর্ণের সংখ্যা | স্বরবর্ণ | ব্যঞ্জনবর্ণ |
মাত্রাহীন বর্ণ | ১০ টি | (৪টি) এ, ঐ, ও, ঔ | (৬টি) ঙ,ঞ,ৎ ং, ঃ, ঁ |
অর্ধমাত্রার বর্ণ | ৮ টি | (১টি) ঋ | (৭টি) খ, গ, ণ, থ, ধ, প, শ |
পূর্ণমাত্রার বর্ণ | ৩২ টি | (৬টি) অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ | ২৬ টি |
স্বরবর্ণ কাকে বলে? স্বরবর্ণ কয়টি ও কি কি?
স্বরবর্ণঃ স্বরধ্বনি দ্যােতক লিখিত সাংকেতিক চিহ্ন কে স্বরবর্ণ বলে। আবার বলা যায়, স্বরবর্ণ হলো বাংলা বর্ণমালার এমন বর্ণ যা উচ্চারণের সময় মুখের কোথাও কোন বাধা পায় না। ফুসফুস থেকে বেরিয়ে আসা বাতাস স্বচ্ছন্দে বেরিয়ে যেতে পারে।
স্বরবর্ণের সংখ্যা: বাংলা বর্ণমালায় মোট ১১ টি স্বরবর্ণ রয়েছে। এগুলো হলো –
অ | আ |
ই | ঈ |
উ | ঊ |
ঋ | এ |
ঐ | ও |
ঔ |
ব্যঞ্জনবর্ণ কাকে বলে? ব্যঞ্জনবর্ণ কয়টি ও কি কি?
ব্যঞ্জনবর্ণঃ ব্যঞ্জনবর্ণ হলো বাংলা বর্ণমালার এমন বর্ণ যা উচ্চারণের সময় মুখের কোথাও না কোথাও বাধা পায়। ফুসফুস থেকে বেরিয়ে আসা বাতাস পূর্ণ বা আংশিকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়, ঘর্ষণ পায়, অথবা সংকুচিত হয়।
ব্যঞ্জনবর্ণের সংখ্যা: বাংলা বর্ণমালায় মোট ৩৯ টি ব্যঞ্জনবর্ণ রয়েছে। এগুলো হলো –
ক | খ | গ |
ঘ | ঙ | চ |
ছ | জ | ঝ |
ঞ | ট | ঠ |
ড | ঢ | ণ |
ত | থ | দ |
ধ | ন | প |
ফ | ব | ভ |
ম | য | র |
ল | শ | ষ |
স | হ | ড় |
ঢ় | য় | ৎ |
ং | ঃ | ঁ |
বাংলা বর্ণমালা কাকে বলে? বর্ণমালা কি?
বাংলা বর্ণমালা হলো বাংলা ভাষা লেখার জন্য ব্যবহৃত বর্ণগুলির একটি সুশৃঙ্খল ব্যবস্থা। যেকোনো ভাষায় ব্যবহৃত লিখিত বর্ণ সমষ্টিকে সে ভাষার বর্ণমালা বলে। বাংলা ভাষার বর্ণ সম্পর্কিত চিহ্ন বা প্রতীককে বাংলা বর্ণমালা বলে। এটিতে মোট ৫০ টি বর্ণ রয়েছে, যার মধ্যে ১১ টি স্বরবর্ণ এবং ৩৯ টি ব্যঞ্জনবর্ণ রয়েছে।

বাংলা বর্ণমালার বৈশিষ্ট্য:
- বর্ণমালার ক্রম: বাংলা বর্ণমালার বর্ণগুলি একটি নির্দিষ্ট ক্রম অনুসারে সাজানো থাকে।
- বর্ণের আকার: বাংলা বর্ণগুলির আকার তুলনামূলকভাবে ছোট এবং সরল।
- বর্ণের সংখ্যা: বাংলা বর্ণমালার বর্ণের সংখ্যা অন্যান্য অনেক ভাষার তুলনায় কম।
- বর্ণের ব্যবহার: বাংলা বর্ণগুলি ব্যবহার করে যেকোনো ধরণের শব্দ লেখা সম্ভব।
বাংলা বর্ণমালার গুরুত্ব:
- ভাষা শেখা: বাংলা বর্ণমালা শিখলে বাংলা ভাষা সহজে শেখা যায়।
- লেখালেখি: বাংলা বর্ণমালা জানা ছাড়া বাংলা ভাষায় লেখালেখি করা সম্ভব নয়।
- যোগাযোগ: বাংলা বর্ণমালা জানা থাকলে বাংলা ভাষায় কার্যকরভাবে যোগাযোগ করা যায়।
- সাহিত্য: বাংলা সাহিত্য উপভোগ করার জন্য বাংলা বর্ণমালা জানা অপরিহার্য।
বর্ণমালা কত প্রকার ও কি কি?
বাংলা বর্ণমালা দুই প্রকার। যথা-
- স্বরবর্ণ ও
- ব্যঞ্জনবর্ণ
স্বরবর্ণকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায়। এগুলোহলো –
- হ্রস্বস্বর ও
- দীর্ঘস্বর
হ্রস্বস্বরঃ হ্রস্বস্বর হলো বাংলা ভাষার এমন স্বরধ্বনি যা উচ্চারণ করতে অপেক্ষাকৃত কম সময় লাগে। দীর্ঘস্বরের বিপরীতে, হ্রস্বস্বর উচ্চারণের সময় ফুসফুস থেকে বের হওয়া বাতাস কম সময় ধরে মুখের কোনো বাধা ছাড়াই স্বাচ্ছন্দে বের হয়। হ্রস্বস্বর ৪ টি। যথা- অ, ই, উ, ঋ।
দীর্ঘস্বরঃ দীর্ঘস্বর হলো বাংলা ভাষার এমন স্বরধ্বনি যা উচ্চারণ করতে অপেক্ষাকৃত বেশি সময় লাগে। এগুলো উচ্চারণের সময় ফুসফুস থেকে বের হওয়া বাতাস বেশি সময় ধরে মুখের কোনো বাধা ছাড়াই স্বাচ্ছন্দে বের হয়। দীর্ঘস্বর ৭ টি। এগুলো হলো – আ, ঈ, ঊ, এ, ঐ, ও, ঔ।
উচ্চারণভেদে ব্যঞ্জনবর্ণকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা –
স্পৃষ্ট ব্যঞ্জনবর্ণ
স্পৃষ্ট ব্যঞ্জনবর্ণ হলো বাংলা বর্ণমালার এমন ব্যঞ্জনবর্ণ যা উচ্চারণের সময় মুখের কোনো স্থানে জিহ্বার স্পর্শ হয়। এই স্পর্শের ফলে মুখের ভিতরে বাতাসের প্রবাহ momentarily বাধাপ্রাপ্ত হয়।
বাংলা বর্ণমালার প্রথম ২৫টি বর্ণ (ক থেকে ম পর্যন্ত) স্পৃষ্ট ব্যঞ্জনবর্ণ। এগুলোকে স্পর্শধ্বনি বা স্পৃষ্টধ্বনিও বলা হয়।
স্পৃষ্ট ব্যঞ্জনবর্ণ উচ্চারণের ক্ষেত্রে জিহ্বা মুখের বিভিন্ন স্থানে স্পর্শ করে। সেগুলো হলো:
- কণ্ঠস্থ: ক, খ, গ, ঘ, ঙ (জিহ্বার প پشت (poshth) অংশ কণ্ঠনলীর সাথে স্পর্শ করে)
- তালব্য: চ, ছ, জ, ঝ, ঞ (জিহ্বার মাঝামাঝি অংশ তালুর সাথে স্পর্শ করে)
- মূর্ধন্য: ট, ঠ, ড, ঢ, ণ (জিহ্বার ডগা মুখের উপরের কঠিন মাংসের সাথে স্পর্শ করে)
- দন্ত্য: ত, থ, দ, ধ, ন (জিহ্বার ডগা দাঁতের গোড়ার সাথে স্পর্শ করে)
- ওষ্ঠ্য: প, ফ, ব, ভ, ম (দুই ওষ্ঠ পরস্পর স্পর্শ করে)
নাসিক্য ব্যঞ্জনবর্ণ
নাসিক্য ব্যঞ্জনবর্ণ হলো বাংলা বর্ণমালার এমন ব্যঞ্জনবর্ণ যা উচ্চারণের সময় বাতাস মুখ দিয়ে বের না হয়ে নাক দিয়ে বের হয়।
বাংলা বর্ণমালায় মোট ৩ টি নাসিক্য ব্যঞ্জনবর্ণ রয়েছে। সেগুলো হলো:
- ম (m)
- ন (n)
- ঙ (ng)
নাসিক্য ব্যঞ্জনবর্ণ উচ্চারণের সময়:
- জিহ্বা মুখের কোনো স্থানে স্পর্শ করে। (স্পৃষ্ট ব্যঞ্জনবর্ণের মতো)
- মুখের ভিতরে বাতাসের প্রবাহ momentarily বাধাপ্রাপ্ত হয়। (স্পৃষ্ট ব্যঞ্জনবর্ণের মতো)
- কিন্তু, উচ্চারিত বাতাস মুখ দিয়ে বের না হয়ে নাক দিয়ে বের হয়।
নাসিক্য ব্যঞ্জনবর্ণের উদাহরণ:
- ময়না (moyna)
- নদী (nodi)
- ঙাল (ngal)
নাসিক্য ব্যঞ্জনবর্ণের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য:
- নাসিক্য ব্যঞ্জনবর্ণের উচ্চারণের সময় নাকের গহ্বর কম্পিত হয়।
- নাসিক্য ব্যঞ্জনবর্ণের সাথে স্বরবর্ণ যুক্ত হলে অনুনাসিক স্বরধ্বনি তৈরি হয়।
- বাংলা ভাষায় নাসিক্য ব্যঞ্জনবর্ণ বেশ ব্যবহৃত হয়।
উষ্ম ব্যঞ্জনবর্ণ
বাংলা বর্ণমালার উষ্ম ব্যঞ্জনবর্ণ হলো এমন কিছু ব্যঞ্জনধ্বনি, যা উচ্চারণের সময়
- মুখের কোনো স্থানে জিহ্বার পুরোপুরি স্পর্শ হয় না।
- বরং, বাতাস গলা দিয়ে বের হওয়ার সময় কোনো স্থানে ঘর্ষণ (friction) করে উচ্চারিত হয়।
- ফলে, এই ধ্বনিগুলো কিছুটা শিসের মতো শোনা যায়।
বাংলায় সাধারণত চারটি উষ্ম ব্যঞ্জনবর্ণ আছে:
-
শ (sh)
- উদাহরণ: আশা (asha), নিশ (nish)
-
ষ (sh) (দন্ত্য উষ্ম)
- উদাহরণ: নিষেধ (nishedh), নিশ্চুয় (nishchuy)
-
স (s)
- উদাহরণ: আস্তে ( aste), সাপ (shap)
-
হ (h)
- উদাহরণ: হাত (hat), আহা (aha)
পাশ্বিক ব্যঞ্জনবর্ণ
বাংলা বর্ণমালার পাশ্বিক ব্যঞ্জনবর্ণ হলো এমন কিছু ব্যঞ্জনধ্বনি যা উচ্চারণের সময় বাতাস মুখের মাঝখান দিয়ে বের না হয়ে জিহ্বার পাশ দিয়ে বের হয়। লাল শব্দের ল পাশ্বিক ব্যঞ্জনের উদাহরণ।
কম্পিত ব্যঞ্জনবর্ণ
কম্পিত ব্যঞ্জনবর্ণ বলতে এমন কিছু ব্যঞ্জনধ্বনি বোঝায় যা উচ্চারণের সময় জিহ্বার দ্রুত কম্পন (vibration) ঘটে। র কম্পিত ব্যঞ্জনবর্ণের উদাহরণ।
তাড়িত ব্যঞ্জনবর্ণ
বাংলা বর্ণমালায় তাড়িত ব্যঞ্জনবর্ণ বলতে সেই দুটি বিশেষ ব্যঞ্জনধ্বনিকে বোঝায় যা উচ্চারণের সময় জিহ্বা দ্রুত স্পর্শ করে এবং সরে যায়। এই দ্রুত স্পর্শের ফলে একটি তাড়ানোর মতো বা স্পৃশ্য ধ্বনি।
উৎপন্ন হয়। বাংলায় মাত্র দুটি তাড়িত ব্যঞ্জনবর্ণ রয়েছে:
-
ড় (ŗ) – “ড়” এর উচ্চারণের সময় জিহ্বার ডগা দ্রুতভাবে উপরের মাઢির (alveolar ridge) সাথে স্পর্শ করে সরে যায়।
- উদাহরণ: কড়া (kora), ঝড় (jhor)
-
ঢ় (ŗh) – “ঢ়” এর উচ্চারণের সময় জিহ্বার ডগা দ্রুতভাবে মূর্ধার (alveolar ridge) के बाद (ke badh) প softer – এ ক্ষেত্রে মাઢির একটু নীচের কঠিন অংশের সাথে স্পর্শ করে সরে যায়।
- উদাহরণ: ঢেঁকি (dhęki), ঢোল (dhol)
তাড়িত ব্যঞ্জনবর্ণের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য:
- উচ্চারণের সময় জিহ্বার স্পর্শ খুবই দ্রুত ও সামান্য।
- এই দ্রুত স্পর্শের ফলে একটি স্পষ্ট ধ্বনি তৈরি হয়।
- বাংলা ভাষায় তাড়িত ব্যঞ্জনবর্ণ তুলনামূলকভাবে কম ব্যবহৃত হয়।
মহা প্রাণ বর্ণ: প্রত্যেক বর্ণের দ্বিতীয় ও চতুর্থ বর্ণের উচ্চারণের সময় প্রাণ জোরে উচ্চারণ হয় বলে এই বর্ণ গুলোকে মহা প্রাণ বর্ণ বলে। যেমন – খ, ঘ, ছ, ঝ ইত্যাদি।
অল্প প্রাণ বর্ণ: প্রত্যেক বর্ণের প্রথম ও তৃতীয় বর্ণের উচ্চারণের হালকা প্রাণ ভাবে উচ্চারণ হয় বলে এই বর্ণ গুলোকে অল্প প্রাণ বর্ণ বলে। যেমন – ক, গ, চ, জ ইত্যাদি।
বর্ণ ও বর্ণমালা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন
পূর্ণমাত্রার বর্ণ কয়টি ও কি কি ?
পূর্ণমাত্রার বর্ণ ৩২টি।
পূর্ণমাত্রার স্বরবর্ণ কয়টি ও কি কি ?
পূর্ণমাত্রার স্বরবর্ণ ৬ টি। সেগুলো হলো- অ আ ই ঈ উ, উ।
পূর্ণমাত্রা ব্যঞ্জনবর্ণ কয়টি ও কি কি ?
পূর্ণমাত্রা ব্যঞ্জনবর্ণ ২৬ টি। সেগুলো হলো– ক, ঘ, চ, ছ, জ, ঝ, ট, ঠ, ড, ঢ, ম, য, র, ল, ষ, স, হ, ত, দ, ন, ফ, ব, ভ, ড়, ঢ়, য়।
অর্ধমাত্রার বর্ণ কয়টি ও কি কি ?
অর্ধমাত্রার বর্ণ ৮টি। যথা – ঋ, , গ, ণ, থ, ধ, প, শ ।
অর্ধমাত্রা স্বরবর্ণ কয়টি ও কি কি ?
অর্ধমাত্রা স্বরবর্ণ ১টি। সেটি হলো- ঋ।
অর্ধমাত্রা ব্যঞ্জনবর্ণ কয়টি ও কি কি ?
অর্ধমাত্রা বর্ণ ৭টি। সেগুলো হলো- যথা : খ, গ, ণ, থ, ধ, প, শ ।
মাত্রাহীন বর্ণ কয়টি ও কি কি ?
মাত্রাহীন বর্ণ ১০টি। যথা – এ, ঐ, ও, ঔ, ঙ, ঞ, ৎ, ং, ঃ, ঁ।
মাত্রাহীন স্বরবর্ণ কয়টি ও কি কি ?
মাত্রাছাড়া স্বরবর্ণ ৪ টি। সেগুলো হলো- এ ঐ ও ঔ ।
মাত্রাছাড়া ব্যঞ্জনবর্ণ কয়টি ও কি কি ?
মাত্রাছাড়া ব্যঞ্জনবর্ণ ৬ টি। সেগুলো হলো- ঙ, ঞ, ৎ, ং, ঃ, ঁ
কার কাকে বলে? কার কয়টি ও কি কি?
স্বরবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে কার বলে। বাংলা বর্ণমালায় মোট ১০টি স্বরবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপ রয়েছে।
স্বরবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপের তালিকা:
স্বরবর্ণ | সংক্ষিপ্ত রূপ |
---|---|
অ | অ |
আ | া |
ই | ি |
ঈ | ী |
উ | ু |
ঊ | ূ |
ঋ | ৃ |
এ | ে |
ঐ | ৈ |
ও | ো |
ঔ | ৌ |
ফলা কাকে বলে? ফলা কয়টি ও কি কি?
ফলা বলতে বোঝায় উচ্চারণের সময় কয়েকটি ব্যঞ্জনবর্ণ অন্য ব্যঞ্জনবর্ণের সাথে মিলিত হয়ে যে সংক্ষিপ্ত রূপ ধারণ করে।
বাংলা বর্ণমালায় মোট ৬ টি ফলা রয়েছে।
ফলার নাম ও আকৃতি:
ফলার নাম | আকৃতি | উদাহরণ |
---|---|---|
য-ফলা | ্য | কণ্ঠ্য |
র-ফলা | ্র | কৃষ্ণ |
ন-ফলা | ন | কণ্ঠ |
ম-ফলা | ম | কৃষ্ণ |
ব-ফলা | ব | কৃষ্ণ |
ল-ফলা | ল | কৃষ্ণ |
উদাহরণ:
- কণ্ঠ (ক + ণ + ঠ্য)
- কৃষ্ণ (ক + ৃ + ষ্ণ)
- কর্ম (ক + র্ + ম)
- গন্ধ (গ + ন্ + ধ)
- মন্দ (ম + ন্ + দ)
- লবণ (ল + ব + ণ)
বাংলা ব্যাকরণ নিয়ে আরো পড়তে চাইলে নিচে আর্টিকেলগুলো দেখতে পারেন।