বিয়োজন কাকে বলে? উদাহরণ দাও | বিয়োজন নির্ণয়ের সূত্র

আজকের আর্টিকেলে আমরা বিয়োজন কাকে বলে? উদাহরণ দাও | বিয়োজন নির্ণয়ের সূত্র সম্পর্কে আলোচনা করব। তাহলে আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।

বিয়োজন কাকে বলে

বিয়োজন কাকে বলে? উদাহরণ দাও

বিয়োজন হলো একটি গাণিতিক প্রক্রিয়া যেখানে একটি বৃহত্তর সংখ্যা থেকে একটি ছোট সংখ্যা অপসারণ করা হয়। ইংরেজিতে এটি “Subtraction” নামে পরিচিত। এটি সাধারণত “-” চিহ্ন দিয়ে প্রকাশ করা হয়।

আবার বলা যায়, বিয়োজন হলো গণিতের একটি মৌলিক ধারণা যা দুটি সংখ্যার মধ্যে পার্থক্য খুঁজে বের করার জন্য ব্যবহৃত হয়।

সহজ কথায় বলতে গেলে, বিয়োজন হলো একটি সংখ্যা থেকে অন্য একটি সংখ্যা বাদ দেওয়া বা বিয়োগ করা।

বিয়োজনের উদাহরণ:

  • 10 – 5 = 5 মানে 10 থেকে 5 বাদ দিলে 5 পাওয়া যায়।
  • 17 – 8 = 9 মানে 17 থেকে 8 বাদ দিলে 9 পাওয়া যায়।
  • -2 – 1 = -3 মানে -2 থেকে 1 বাদ দিলে -3 পাওয়া যায়।

বিয়োজন নির্ণয়ের সূত্র

বিয়োজন নির্ণয়ের সূত্র হলো: বিয়োজন = বিয়োজ্য + বিয়োগফল

  • ১০০ (বিয়োজন) – ৫০(বিয়োজ্য) = ৫০ (বিয়োগফল)
  • ৪৫ (বিয়োজন) – ২৫(বিয়োজ্য) = ২০(বিয়োগফল)
  • -৩০ (বিয়োজন) – ( -৫০(বিয়োজ্য)) = ২০(বিয়োগফল)
  • ০ (বিয়োজন) – (-৭০)(বিয়োজ্য) = ৭০(বিয়োগফল)

মূলত বিয়োজন হলো বড় সংখ্যাটি। উপরের উদাহরণে বিয়োজন হলো: ১০০,৪৫, -৩০ এবং ০। আর বিয়োজন থেকে বাদ দেওয়া সংখ্যাটি হচ্ছে বিয়োজ্য। এখানে, ৫০, ২৫, -৫০ এবং -৭০ হলো বিয়োজ্য। আর বিয়োজন থেকে বিয়োজ্য বাদ দিলে যা পাওয়া যায় তাকে বিয়োগফল বলা হয়। উপরের উদাহরণের বিয়োগফলগুলো হলো: ৫০, ২০, ২০ এবং ৭০।

বিয়োজনের ব্যবহার

  • দৈনন্দিন জীবনে: বাজারে কেনাকাটা, রান্না, ভ্রমণ ইত্যাদিতে বিয়োজন ব্যবহার করা হয়।
  • গণিতের বিভিন্ন শাখায়: বীজগণিত, ক্যালকুলাস, জ্যামিতি ইত্যাদিতে বিয়োজন ব্যবহার করা হয়।
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে: পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, প্রকৌশল ইত্যাদিতে বিয়োজন ব্যবহার করা হয়।

বিয়োজন শেখার কিছু টিপস

  • সংখ্যা রেখা ব্যবহার করুন: সংখ্যা রেখা ব্যবহার করে বিয়োজন করা সহজে বোঝা যায়।
  • গণনা সরঞ্জাম ব্যবহার করুন: বিয়োগফল খুঁজে বের করার জন্য ক্যালকুলেটর বা অন্যান্য গণনা সরঞ্জাম ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • অনুশীলন করুন: নিয়মিত অনুশীলন করলে বিয়োজন দ্রুত ও সঠিকভাবে করা যায়।